Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

ছায়া থেকে আলো: রাজুর গরিব থেকে কোটিপতি হওয়ার বাস্তব গল্প

 দারিদ্র্য যেন রাজুর জীবনের অপর নাম ছিল। এক চিলতে টিনের ছাউনি ঘরে মা-বাবা আর দুই ভাইবোনকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। স্কুলে যাওয়া তো দূরের কথা, রাজুর শৈশব কেটেছে বাজারে বস্তা টেনে, চায়ের দোকানে কাজ করে। কিন্তু এই দারিদ্র্যই একদিন রাজুকে শিখিয়ে দিল—জীবন বদলানোর সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায়

🧱 শুরুটা ছিল খুব নিচ থেকে

রাজুর বাড়ি ছিল এক প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে বিদ্যুৎ ছিল বিলাসিতা আর ইন্টারনেট ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু রাজুর মধ্যে ছিল শেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। বাজারে কাজ করার ফাঁকে সে পুরনো খবরের কাগজ থেকে শব্দ শিখত, দোকানে পড়ে থাকা মোবাইল থেকে ইউটিউবের ভিডিও দেখে ইংরেজি ও টেকনোলজির জগৎ সম্পর্কে জানত।

একদিন গ্রামের এক বড় ভাই শহর থেকে ফিরে বলল, “তুই ফ্রিল্যান্সিং শিখলে অনেক আয় করতে পারবি।” সেই কথা রাজুর মাথায় গেঁথে গেল। তার কষ্টার্জিত কিছু টাকা দিয়ে সে এক পুরনো অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনল। এরপর শুরু হলো রাত জেগে শেখার যুদ্ধ।

💻 জীবন বদলে দিল ডিজিটাল দুনিয়া

ইউটিউব ও ফ্রি অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে রাজু ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখে। প্রথমদিকে কোনো কাজ পাচ্ছিল না। ৬ মাস চেষ্টার পর অবশেষে একটি ছোট প্রকল্প পায় ফাইভার নামক ফ্রিল্যান্সিং সাইটে। পেমেন্ট ছিল মাত্র ৫ ডলার। কিন্তু সেই ৫ ডলারই রাজুর চোখে এনে দেয় আস্থা, সাহস আর স্বপ্ন।



এরপর থেকে রাজুর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একের পর এক ক্লায়েন্ট, রিভিউ ও রিকমেন্ডেশনের মাধ্যমে রাজু হয়ে ওঠে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার। পরে নিজের একটি আইটি কোম্পানি গড়ে তোলে সে—"RajTech Solutions"

🏡 ফিরে এলো নিজের গ্রামে, গড়ল কর্মসংস্থান

যখন আয় মাসে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, তখন সে শহরে ফ্ল্যাট কেনে, পরিবারের দায়িত্ব নেয় এবং গ্রামে ফিরে একটি ছোট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করে। এখন রাজু শুধু নিজে কোটিপতি নয়, বরং তার মাধ্যমে আরও ৩০-৪০ জন তরুণ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজু বলে, “জীবনে সবকিছু শুরু হয় ছোট থেকে, কিন্তু স্বপ্নটা যদি বড় হয়, তাহলে দরিদ্রতাও তোমাকে থামাতে পারবে না।”

Post a Comment

0 Comments