🔴 শাহরিয়ার হত্যাকাণ্ডে ঢাবি উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে বিএনপির তীব্র সমালোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যখন উপাচার্যের কাছে বিচার দাবি করতে যান, তখন তাঁদের সাথে উপযুক্ত আচরণ না করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে, রিজভী বলেন—ঢাবি উপাচার্য এবং প্রক্টর একই রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী, এজন্য তাঁরা ছাত্রদলের কথা শুনতে রাজি হননি।
🗣️ “ছাত্রদের তুই-তোকারি করে অপমান করা হয়েছে”—রিজভীর অভিযোগ
রিজভী বলেন, “একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিহত হওয়ার পর ছাত্ররা যখন উপাচার্যের কাছে বিচার চাইতে গিয়েছিল, তখন তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন। এটি একজন শিক্ষকের ভাষা হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা যদি কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত থাকেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই নিরপেক্ষ থাকবে না।”
⚠️ সাম্য হত্যার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য?
ছাত্রদল নেতা সাম্যকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী। তাঁর ভাষায়, “সাম্য কয়েকদিন আগে একটি ফেসবুক পোস্টে জাতীয় সংগীতের পক্ষে অবস্থান নেয়। এরপরই সে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “পুলিশ যাদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা ভবঘুরে মাত্র। ভবঘুরেরা কেন একজন শিক্ষিত ছাত্রকে হত্যা করবে? নিশ্চয়ই এর পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।”
🔍 অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে
রিজভী বলেন, “একদিকে এনসিপি নেতাদের সাদরে গ্রহণ করা হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ ছাত্রদের উপর চালানো হচ্ছে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস। এ কেমন দ্বৈত আচরণ?”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ফ্যাসিবাদী চিন্তাভাবনায় দেশ পরিচালিত হলে জনগণই তার জবাব দেবে।”
🎙️ ছাত্র রাজনীতিতে ভিন্ন মত দমন করা হলে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়
রিজভীর মতে, “যারা জাতীয় পতাকা, সংগীত এবং ১৯৭১-এর চেতনার পক্ষে অবস্থান নেয়, তাদের জীবন আজ হুমকির মুখে। ঠিক যেমন আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল, তেমনভাবে আজও স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য ছাত্ররা খুন হচ্ছে।”
0 Comments