Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্যের ডাক: ফ্যাসিবাদ আর নয়, বলছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ

 

🗣️ গণতন্ত্রের স্বপ্নে ঐক্যের আহ্বান: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

বাংলাদেশের মানুষ আর চায় না ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি। তারা চায় একটি সমান অধিকার ভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যেখানে সকল নাগরিক নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে—এমনটাই মত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


🧭 রাজনৈতিক ঐকমত্যই ভবিষ্যতের পথ

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, জুলাই মাসের আন্দোলন ছিল মানুষের হৃদয়ের গভীর থেকে উৎসারিত একটি প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ, যা ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে।
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য গণতন্ত্রের স্বাভাবিক অঙ্গ, তবে কিছু মৌলিক বিষয়ে সব দলের মধ্যে সমঝোতা জরুরি।

তিনি আরও যোগ করেন, “ঐকমত্য কমিশন একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে, এবং এতে সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”


🤝 বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা

ঐ বৈঠকে অধ্যাপক রীয়াজের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এম. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, প্রমুখ।
বাসদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। এছাড়াও ছিলেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, শম্পা বসু, মনীষা চক্রবর্ত্তী, ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।


🔄 পরিবর্তনের ডাক, ঐকমত্যের পথে অঙ্গীকার

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, "ফ্যাসিবাদের সময় আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা পাইনি। এখন আলোচনার সুযোগ এসেছে, যা ইতিবাচক।"
তিনি জানান, কিছু সংস্কার প্রস্তাবনায় ইতোমধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আর মতপার্থক্যগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “এখন পর্যন্ত যত ঐকমত্য হয়েছে, তা রাজনৈতিক দলগুলো মানেনি। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হতে পারে।”

Post a Comment

0 Comments